ব্রেন স্ট্রোক এর লক্ষণ কি? স্ট্রোক এর লক্ষণ বা ব্রেনের সমস্যার লক্ষণ নিয়ে অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে। আপনি হয়তো ভাবছেন স্ট্রোক কেন হয়? বা ব্রেন স্ট্রোক এর লক্ষণ কি? অথবা, স্ট্রোক বোঝার উপায়?
পূর্বের পোস্টটিতে “ব্রেন স্ট্রোক কী? যে ১০ টি কারণে বাড়ছে ব্রেন স্ট্রোকে মৃত্যু ঝুঁকি” সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আজকের ব্লগ পোস্টে আলোচনা করা হবে: “ব্রেন স্ট্রোক এর লক্ষণ ও করণীয় কি? স্ট্রোক এর ১৩ টি লক্ষণ যা কমাতে পারে স্ট্রোকে মৃত্যু” সম্পর্কে।
স্ট্রোক কি?
মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়াকেই স্ট্রোক বলে।
সাধারণত, আমাদের দেহে অক্সিজেনের মাধ্যমে রক্ত চলাচল করে থাকে। তাই শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং প্রত্যেকটি অংশে রক্ত চলাচল করা অত্যন্ত জরুরি। আর মস্তিষ্কের রক্ত চলাচলে বাঁধা জনিত সমস্যাই স্ট্রোক বা ব্রেন স্ট্রোক।
স্ট্রোক কি কারনে হয়?
স্ট্রোক কেন হয়?
ব্রেন স্ট্রোক ঘটে যখন মস্তিষ্কের কোনো অংশে রক্ত সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয় বা হ্রাস পায়, যা মস্তিষ্কের টিস্যুতে অক্সিজেন এবং পুষ্টি সরবরাহের ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করে। যার ফলে মস্তিষ্কের কোষ কয়েক মিনিটের মধ্যে মারা যেতে শুরু করে।
স্ট্রোক এর লক্ষণ
মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহের বাঁধা মস্তিষ্কের মধ্যে টিস্যুগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। মস্তিষ্কের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত শরীরের বিভিন্ন অংশে স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা যায়।
স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তি যত তাড়াতাড়ি যত্ন পাবেন, তার ফলাফল তত ভালো হবে। এই কারণে, স্ট্রোকের লক্ষণগুলি জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি। যাতে আপনি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন।
So, স্ট্রোক বোঝার উপায় বা স্ট্রোক এর লক্ষণ হলো:
ব্রেন স্ট্রোক এর ১৩ টি লক্ষণ যা কমাতে পারে স্ট্রোকে মৃত্যু
- অন্যদের সাথে কথা বলতে বা তাদের কথা বুঝতে সমস্যা
- হাতের বাহু, মুখ এবং পায়ে অসাড়তা বা দুর্বলতার অনুভব
- পক্ষাঘাত বা প্যারালাইসিস (Paralysis)
- ঝাপসা বক্তৃতা (কথা বলতে সমস্যা হওয়া) বা Slurred Speech
- হাঁটতে সমস্যা হওয়া
- দেখতে সমস্যা হওয়া
- মাথা ঘোরা (Dizziness)
- দেহের ভারসাম্য হারাতে থাকা
- কারণ ছাড়াই হঠাৎ প্রচণ্ড মাথাব্যথা অনুভূত হওয়া
- খিঁচুনি হওয়া
- বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
- বিভ্রান্তি বা সংবেদনশীলতার অভাব
- আকস্মিক আচরণগত পরিবর্তন
ব্রেন স্ট্রোক এর কারণ জানতে ক্লিক করুন: ব্রেন স্ট্রোক কী? যে ১০ টি কারণে বাড়ছে ব্রেন স্ট্রোকে মৃত্যু ঝুঁকি
ব্রেন স্ট্রোক এর লক্ষণ কি?
১। অন্যদের সাথে কথা বলতে বা তাদের কথা বুঝতে সমস্যা স্ট্রোক এর লক্ষণ
অন্যরা কী বলছে তা সমস্যা হওয়া, স্ট্রোক এর প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে পরিগনিত হয়।
অন্যের সাথে কথা বলার সময় অসুবিধা হলেও তাকে অবহেলার চোখে দেখা যাবে না।
২। স্ট্রোক এ লক্ষণ হিসেবে হাতের বাহু, মুখ এবং পায়ে অসাড়তা বা দুর্বলতার অনুভব করা
মুখ, বাহু বা পায়ের পক্ষাঘাত বা অসাড়তা ব্রেন স্ট্রোকের বড় লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি। বিশেষ করে শরীরের একপাশে অবশ হয়ে যাওয়া বা নাড়াচাড়া করতে না পারলে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
৩। স্ট্রোক হলে পক্ষাঘাত বা প্যারালাইসিস (Paralysis) একটি লক্ষণ
মুখ, বাহু বা পায়ে হঠাৎ অসাড়তা, দুর্বলতা অনুভবের পর পক্ষাঘাত (Paralysis) দেখা দিতে পারে। এটি প্রায়শই শরীরের একপাশকে প্রভাবিত করে। অর্থাৎ, শরীরের একপাশ হঠাৎ করেই অবশ হয়ে যায় বা কাজ করার সামর্থ হারিয়ে যায়।
So, প্যারালাইসিস এর বিষয়টি পর্যবেক্ষণের জন্য আপনার উভয় বাহু আপনার মাথার উপরে তোলার চেষ্টা করুন। যদি একটি হাত বা উভয়ই পড়তে শুরু করে, তাহলে আপনার স্ট্রোক হতে পারে বলে ধরে নিতে পারেন।
Also, যখন হাসতে চেষ্টা করবেন তখন আপনার মুখের একপাশ বেঁকে যেতে পারে।
৪। ঝাপসা বক্তৃতা (কথা বলতে সমস্যা হওয়া) বা Slurred Speech
‘ঝাপসা বক্তৃতা (কথা বলতে সমস্যা হওয়া) বা Slurred Speech’ স্ট্রোক এর লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি।
অসাড় বা ঝুঁকে থাকা মুখ এবং এক বাহু বা পায়ে দুর্বল বোধ করা সহ কথা বলতে সমস্যা স্ট্রোকের অন্যতম প্রধান লক্ষণ।
যখন রক্ত জমাট বাঁধার কারণে আপনার মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, তখন আপনার কথা ঝাপসা বোঝা যাবে এবং কথা বেশি বোঝা যাবে না এমনকি কথা বলতে অক্ষম হয়ে যেতে পারেন।
৫। হাঁটতে সমস্যা হওয়া
স্ট্রোকের অন্যতম একটি লক্ষণ হলো হাঁটতে সমস্যা হওয়া।
But, কিছু লোক যাদের স্ট্রোক হয়েছে তাদের হাঁটা এবং নড়াচড়া করতে কিছু সমস্যা হয়।
So, স্ট্রোক আপনার মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে যা আপনার গতিবিধি নির্ধারণ করে। ফলে মস্তিষ্কের সংকেতগুলি বিকল হয়ে যায় এবং আপনার মন এবং পেশী একসাথে খুব ভালভাবে কাজ নাও করতে পারে। তাই, হাঁটতে সমস্যা হওয়া স্ট্রোক এর লক্ষণগুলোর একটি
৬। দেখতে সমস্যা হওয়া
দেখতে সমস্যা হওয়া, যেমন চোখে ঝাপসা দেখা ব্রেন স্ট্রোক এর প্রাথমিক লক্ষণ।
অস্থায়ী দৃষ্টিশক্তি হ্রাস আসন্ন স্ট্রোক এর লক্ষণ হতে পারে। এর জন্য অবিলম্বে চিকিৎসার প্রয়োজন। অথবা, এটি স্ট্রোকের এমন একটি উপসর্গ হতে পারে যা ইতিমধ্যেই ঘটেছে। স্ট্রোকের কারণে দৃষ্টি সংক্রান্ত জটিলতা নির্ভর করে যেখানে স্ট্রোক হয় তার উপর।
So, স্ট্রোকের পরে, আপনার ভিজ্যুয়াল প্রসেসিং বা আপনি যা দেখছেন তা বোঝার ক্ষমতা নিয়ে আপনার অসুবিধা হতে পারে।
স্ট্রোকের পরে সবচেয়ে সাধারণ ‘ভিজ্যুয়াল প্রসেসিং সমস্যা বা দেখতে সমস্যা’ হল ‘ভিজ্যুয়াল নেগ্লেক্ট’, যা স্থানিক অমনোযোগ নামেও পরিচিত, যা আপনার চারপাশের জিনিসগুলি সম্পর্কে আপনার ধারণাকে প্রভাবিত করতে পারে কারণ আপনি যেকোনো একদিকের জিনিসগুলি সম্পর্কে সংকেত নাও পেতে পারেন।
৭। মাথা ঘোরা (Dizziness)
মাথা ঘোরা বা Dizziness হলো ইস্কেমিক স্ট্রোক এর লক্ষণ।
আপনার মুখ, বাহু বা পায়ের হঠাৎ অসাড়তা বা দুর্বলতা দেখা দিলে ধরে নিতে পারেন ব্র্বন স্ট্রোক এর লক্ষণগুলোর একটি আপনার মধ্যে দেখা দিয়েছে, যা প্রায়ই শরীরের একপাশে ঘটে থাকে।
৮। দেহের ভারসাম্য হারাতে থাকা
অন্যান্য অনেক বিষয়, যেমন নিম্ন রক্তচাপ বা কানের সমস্যা, মাথা ঘোরা বা ভারসাম্য সমস্যার কারণ হতে পারে স্ট্রোক এর লক্ষণ।
স্ট্রোক এর কারণে, দেহের ভারসাম্যের সমস্যা প্রায়শই অন্যান্য লক্ষণগুলির সাথে থাকে।
ডক্টর অ্যান্ডারসন বলেছেন,
“যদি আপনার স্ট্রোক হয়, আপনার ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে, এমনকি একটি পাও ভারী অনুভব করতে পারেন, অথবা আপনি ঠিকমতো দেখতে পাবেন না,” (collected)
৯। কারণ ছাড়াই হঠাৎ প্রচণ্ড মাথাব্যথা অনুভূত হওয়া
মাথাব্যথা কখনও কখনও স্ট্রোকের লক্ষণ হতে পারে। স্ট্রোক এর আগে কোনো কারণ ছাড়াই প্রচণ্ড মাথাব্যথা আকস্মিকভাবে এবং তীব্রভাবে অনুভূত হয়।
স্ট্রোক এর লক্ষণে মাথাব্যথা সাধারণত অন্যান্য ক্লাসিক স্ট্রোকের লক্ষণগুলির সাথে দেখা দেয়। যেমন: দুর্বলতা, অসাড়তা, মাথা ঘোরা এবং ঝাপসা বক্তৃতা ইত্যাদি।
১০। খিঁচুনি হওয়া
খিঁচুনি সেরিব্রোভাসকুলার এবং স্ট্রোক এর প্রাথমিক প্রকাশও হতে পারে এবং কেস-কন্ট্রোলে দেখা যায় যে, খিঁচুনি পরবর্তী স্ট্রোক এর ঝুঁকি বাড়ায়।
এইভাবে, খিঁচুনি ভাস্কুলার ঝুঁকির জন্য চিহ্নিতকারী লক্ষণ হিসাবে কাজ করতে পারে যা চিকিৎসায় ভালো হতে পারে। তবে সঠিক পরীক্ষা চালানোর আগে আরও তথ্য জেনে পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন।
কিছু স্ট্রোকে বেঁচে থাকা ব্যক্তিরা খিঁচুনি অনুভব করতে পারেন। স্ট্রোকের পরে প্রথম কয়েক দিনের মধ্যে এটি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, but আপনার প্রথম খিঁচুনি দুই বা তারও বেশি বছর পরে ঘটতে পারে।
কিছু লোকের বারবার খিঁচুনি হতে পারে এবং তাদের মৃগী রোগ দেখা দিতে পারে।
১১। বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
স্ট্রোকের অন্যান্য কম সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে হঠাৎ বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, অজ্ঞান হওয়া, বিভ্রান্তি, খিঁচুনি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
একটি ক্ষণস্থায়ী “ইস্কেমিক স্ট্রোক” বা “মিনি-স্ট্রোক” এর আগেও ঘটতে পারে। তাই এটি হতে পারে স্ট্রোকের সতর্কতামূলক লক্ষণগুলোর একটি।
১২। বিভ্রান্তি বা সংবেদনশীলতার অভাব
স্ট্রোক এর আগে লক্ষণ হিসেবে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বোধ হতে পারে। আশেপাশের অনুভূতি অন্নুভবে সমস্যা দেখা দেয় অনেক সময়।
১৩। আকস্মিক আচরণগত পরিবর্তন
আকস্মিক আচরণগত পরিবর্তন, বিশেষ করে হঠাৎ উত্তেজিত হওয়া স্ট্রোক এর ছোট লক্ষণ।
আনুমানিক ৩০ শতাংশ (30%) স্ট্রোক এর রোগী জানিয়েছেন, ‘রাগ, নেতিবাচক আবেগ যেমন: ভয়, খিটখিটে আচরণ বা নার্ভাসনেস, বা স্ট্রোকের দুই ঘন্টা আগে একটি চমকপ্রদ ঘটনার সম্মুখীন হয়ে শরীরের অবস্থানে হঠাৎ পরিবর্তন লক্ষণ করেছেন।
স্ট্রোকের সতর্কতা লক্ষণ
যখন স্ট্রোক হয়, তখন মস্তিষ্ক প্রয়োজনীয় রক্ত পায় না। তখন আপনার মস্তিষ্কের কোষগুলোর মৃত্যু, অক্ষমতা বা এমনকি মৃত্যুর সম্ভাবনা কমাতে আপনার দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন।
স্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয়
নিজের বা অন্য কারো মধ্যে স্ট্রোকের সবচেয়ে সাধারণ স্ট্রোক এর লক্ষণ পরীক্ষা করতে দ্রুত নিম্নের পরীক্ষাটি করুন।
বিশেষজ্ঞরা একে F.A.S.T. নামেও অভিহিত করেন।
Firstly, উপসর্গের 3 ঘন্টার মধ্যে স্ট্রোক নির্ণয় করা হলেই স্ট্রোকের চিকিৎসাগুলি সবচেয়ে ভাল কাজ করে।
Secondly, স্ট্রোক রোগীরা যদি সময়মতো হাসপাতালে না পৌঁছায় তবে তারা এর জন্য পদ্ধতিগুল প্রযোজ্য নাও হতে পারে।
Then, আপনি যদি মনে করেন যে কারো স্ট্রোক হতে পারে, তাহলে F.A.S.T. পদ্ধতিটি এবং নিম্নলিখিত সহজ পরীক্ষাটি করে দেখতে পারেন।
- F- Face (মুখ): তাকে হাসতে বলুন। ভালোভাবে দেখুন মুখের একপাশ ঝুলে গেছে কিনা বা তার মুখ নাড়াতে সমস্যা হচ্ছে কিনা।
- A- Arm (বাহু): তাকে উভয় হাত নাড়াতে বলুন। একটি বাহু নাড়াতে সমস্যা হচ্ছে কিনা লক্ষ্য করুন।
- S- Speech (বক্তৃতা): তাকে একটি সাধারণ বাক্য বা লাইন বলতে বলুন বা নিজের হলে বলুন। দেখুন, অস্পষ্ট শোনা যাচ্ছে কিনা।
- T- Time (সময়): আপনি যদি এই লক্ষণগুলির মধ্যে কোনটি দেখতে পান, অবিলম্বে 999 বা +58054708-12 নম্বরে কল করুন এবং লক্ষণগুলি কখন শুরু হয়েছিল তা জানান।
স্ট্রোক হলে করনীয়। এর লক্ষণ
স্ট্রোকের চিকিৎসায় স্ট্রোক এর লক্ষণগুলো দেখা দেওয়ার পির কয়েক মিনিট গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তার ডাকা বা হাসপাতালে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যেতে সময় নষ্ট হতে পারে।
অ্যাম্বুলেন্স কর্মীরা আপনার পরিস্থিতি শীঘ্রই বিচার করতে পারে এবং এটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাওয়ার সুযোগ বাড়িয়ে দেয়।
So, ডাক্তারের সাথে খোয়ামেলা আলচনা করুন। দেখা দেয়া লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানান।
শেষকথা:
গত পোস্টে “ব্রেন স্ট্রোক কী? যে ১০ টি কারণে বাড়ছে ব্রেন স্ট্রোকে মৃত্যু ঝুঁকি” সম্পর্কে আলোচনা করেছি।
পরবর্তী পোস্টে ‘হার্ট স্ট্রোক এর লক্ষণ, হিট স্ট্রোক এর লক্ষণ, হার্ট স্ট্রোক এর লক্ষণ কি, স্ট্রোক এর চিকিৎসা’ ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করবো। সবাইকে রমজানুল মোবারকের শুভেচ্ছা। আসসালামু আলাইকুম।