সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম কী? সৃজনশীল প্রশ্নের বিস্তারিত” – পোস্টটিতে সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম ও এর প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কিত নানা প্রশ্ন অর্থাৎ সৃজনশীল প্রশ্ন নিয়ে নানা অজানা কিংবা জানা তথ্যের আলোচনা করা হবে।
আসুন জেনে নেই ‘সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম‘ নিয়ে থাকা সময়োপযোগী সাধারণ প্রশ্নগুলি কী হতে পারে?

সৃজনশীল প্রশ্ন কী? সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম
“একটি উদ্দীপক সাথে জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতা স্তর বিশিষ্ট যাচাইমূলক প্রশ্নমালাই সৃজনশীল প্রশ্ন।
“সৃজনশীল প্রশ্ন।” বর্তমান গতানুগতিক শিক্ষাব্যবস্থায় খুবই পরিচিত একটি শব্দ তথা শিক্ষা ব্যবস্থা।
So, সহজভাষায় – সৃজনশীল প্রশ্নে একটি উদ্দীপক থাকবে, তার উপর ভিত্তি করে ৪ টি প্রশ্ন থাকবে।
সৃজনশীল প্রশ্ন তৈরি করার নিয়ম বা সৃজনশীল প্রশ্ন কাঠামো | সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম
এ প্রশ্নের উত্তরটি সৃজনশীল প্রশ্ন কারী অর্থাৎ সম্মানিত শিক্ষকদের জন্য।
Firstly, শিক্ষকগণ পাঠ্যবই এর কোনো একটি নির্দিষ্ট গল্প বা কবিতা (বাংলার ক্ষেত্রে), বা কোনো নির্ধারিত দিক (গণিত বাদে যেকোনো বিষয়ের ক্ষেত্রে) এর মৌলিক ভাবকে কেন্দ্র করে একটি প্রাসঙ্গিক উদ্দীপক রচনা করবেন।
এক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন, উদ্দীপকটি বেশি বড় না হয়। এতে শিক্ষার্থী উদ্দীপক পড়তেই অনেক সময় ব্যয় করে ফেলবে।
আবার, উদ্দীপকটি বেশি জটিল হওয়া যাবে না, এটিই সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম। এতে উদ্দীপক অনুধাবনেই বেশ সময় নষ্ট হয়ে যাবে।
শিক্ষার্থীরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে পরীক্ষায় সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর করতে পারে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রশ্নের উত্তর যথাযথভাবে প্রদান করতে পারে – সে দিকটি শিক্ষকগণদের খেয়াল রাখা জরুরি।এভাবে শিক্ষক প্রথমে উদ্দীপক তৈরি করে (ক), (খ), (গ), (ঘ) নং প্রশ্নের মাধ্যমে সৃজনশীল প্রশ্ন সম্পন্ন করবেন।
সৃজনশীল প্রশ্নে কয়টি ধাপ? সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম
সাধারণত ৪ স্তরবিশিষ্ট হয়ে থাকে। এই স্তর বা ধাপগুলো হলো:
(i) জ্ঞানমূলক (ii) অনুধাবনমূলক (iii) প্রয়োগমূলক (iv) উচ্চতর দক্ষতামূলক
এবং একটি উদ্দীপক সংবলিত ৪টি স্তরের সমন্বয়ে গঠিত হয় সৃজনশীল প্রশ্ন। তবে এই ৪ স্তরের ব্যাপারটি বাংলা, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, ধর্ম, বিজ্ঞান, বিজ্ঞান বিভাগের বিষয়গুলো (পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান) এবং আরো কিছু বিষয়ের জন্য প্রযোজ্য।
অন্যদিকে ‘গণিত, উচ্চতর গণিত‘ এর ব্যাপারটা একটু আলাদা। এসব ক্ষেত্রে উদ্দীপক থাকলেও স্তর হয় ৩টি।
সৃজনশীল প্রশ্নের মান কত? সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম
সৃজনশীল প্রশ্নের মান ১০ নম্বর। এ উত্তরটি বাংলা, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, ধর্ম, বিজ্ঞান, বিজ্ঞান বিভাগের বিষয়গুলো (পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ) সহ সকল বিষয়ের জন্যই প্রযোজ্য।
- “ক” অর্থাৎ জ্ঞানমূলক এর মান – ০১
- “খ” অর্থাৎ অনুধাবনমূলক এর মান – ০২
- “গ” অর্থাৎ প্রয়োগমূলক এর মান – ০৩
- “ঘ” অর্থাৎ উচ্চতর দক্ষতামূলক এর মান – ০৪
So, এই ছিলো মূলত সংক্ষেপে সৃজনশীল প্রশ্নের মানবণ্টন। এখন জানুন: সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম
সৃজনশীল প্রশ্ন লিখতে কত সময় লাগে? সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম
একটি সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার জন্য সাধারণত ২০-২২ মিনিট লাগে।
আমাদের সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতিতে ৬ষ্ঠ – এসএসসি কিংবা এইচএসইসি পরীক্ষায় সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার জন্য ২২/২৩ মিনিটের বেশি সময় পাওয়া যায় না সাধারণত।
But বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদেরই একটি সাধারণ সমস্যা হলো তারা পরীক্ষায় উত্তর করার সময় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারা উত্তর করতে পারে না। কেননা সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তরের জন্য বরাদ্ধ সময় থাকে সাধারণত ২০-২৪ মিনিটের মতো।
তবে তারা প্রথম ২-৩ টি সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর করতেই প্রতিটিতে প্রায় ৩০-৩৫ / ৪০ মিনিটের মতো সময় লাগিয়ে দেয়। এতে করে তাদের মাঝে সৃজনশীল প্রশ্ন নিয়ে এক বিরাট ভীতি সৃষ্টি হয়।
So সৃজনশীল প্রশ্ন নিয়ে এ ধরনের সমস্যা থেকে উত্তরনের উপায় নিয়ে আলোচনা করবো।
সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতি অনুচ্ছেদ – সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম
মূলত সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতি ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম, ৯ম, ১০ম শ্রেণির জন্য প্রযোজ্য। মুখস্তনির্ভরতা দূরীকরণে সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হয়েছে। এতে শিক্ষার্থী দের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার নিয়ম | সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম
এর বোর্ডকর্তৃক একটি নিয়ম রয়েছে। ক্রিয়েটিভ প্রশ্ন লেখার ধাপ মোট ৪টি।
- জ্ঞানমূলক
- অনুধাবনমূলক
- প্রয়োগমূলক
- উচ্চতর দক্ষতামূলক
“ক” নং প্রশ্ন বা জ্ঞানমূলক সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর দেওয়ার নিয়ম
জ্ঞানমূলক বা ক নং প্রশ্ন প্রশ্ন উত্তর দিতে হবে একবাক্যে।
- “ক” নং প্রশ্ন বা জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর সাধারণত সংজ্ঞামূলক বা এক বাক্যে উত্তর দেওয়া যায় এমন প্রশ্ন হয়ে থাকে।
এর উত্তর একবাক্যে / এককথায় দিতে হয়। তবে শিক্ষার্থীদের সময় বিবেচনায় একবাক্যে উত্তর দেওয়াই শ্রেয়।
✔ So, শিক্ষার্থীরা একবাক্যে বা এককথায় সঠিক উত্তর দিতে সক্ষম হলে পূর্ণমান ১ নম্বর পেয়ে যাবে।
“খ” নং প্রশ্ন বা অনুধাবনমূলক সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর দেওয়ার নিয়ম
খ নং প্রশ্ন অর্থাৎ অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর দিতে হবে ৪-৬ বাক্যে।
- অনুধাবনমূলক বা “খ” নং এ প্রশ্নের প্রথম প্যারায় মূল উত্তরটি একবাক্যে লিখতে হবে। এখানে মূল উত্তর ব্যাতিত অন্য কিছু লিখলে নম্বর কাটা যাবে।
- অনুধাবনমূলকে দ্বিতীয় প্যারায় ঐ প্রশ্নের জ্ঞানমূলক অর্থাৎ প্রথম প্যারায় লেখা মূল উত্তরটি পাঠ্যবই এর আলোকে ৩-৫ বাক্যে ব্যাখ্যা করতে হবে।
✔ So, শিক্ষার্থীরা প্রথম প্যারায় সঠিক উত্তরটি দিতে পারলে এবং মোটামুটি ভাবে দ্বিতীয় প্যারায় বই এর আলোকে কিছু ব্যাখ্যা করতে পারলেই পূর্ণমান নম্বর ২ পেয়ে যাবে।
তবে মূল উত্তর না থাকলে নম্বর কাটা যাবে অবশ্যই।
“গ” নং প্রশ্ন বা প্রয়োগমূলক সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর দেওয়ার নিয়ম
“গ” নং প্রশ্ন বা প্রয়োগমূলক প্রশ্ন উত্তর দিতে হবে ১১-১৩ বাক্যে।So,“গ” নং প্রশ্ন বা প্রয়োগমূলক প্রশ্নের সাধারণত ৩টি স্তর। যথাঃ জ্ঞানস্তর, অনুধাবনস্তর ও প্রয়োগস্তর।
- জ্ঞানমূলক স্তরে প্রশ্নে চাওয়া মূল উত্তরটি এখানে লিখতে হবে ১টি বাক্যে।
- অনুধাবনমূলক স্তরটি এখানে ৪-৫ বাক্যে লিখতে হবে।
উদ্দীপকের যে দিকটি বই এর কোনো বিষয়ের সাথে মিল আছে – সেই বিষয়ে ৪-৫ বাক্য লিখতে হবে।মূলত প্রশ্নে চাওয়া দিকটি উদ্দীপক ও বই এর সংগতিপূর্ণ দিক এর সাথে মিল রেখে সংক্ষেপে নিজ ভাষায় (নিজের মতো করে) ৪-৫ বাক্য লিখলেই যথেষ্ট।
- প্রয়োগমূলক স্তরটি এখানে ৬-৭ বাক্যে লিখতে হবে। প্রয়োগ স্তরে উদ্দীপকের লেখা লিখতে হবে।
But বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের এখানে এক বিশেষ ভুল হয়ে থাকে। যার কারণে তারা বোর্ড পরীক্ষায় ভালোভাবে লিখে আসলেও নম্বর কমে যায়।
কেননা অনেক শিক্ষার্থীর ধারণা গ নং প্রশ্নের গ্রয়োগ স্তরে তুলনা করতে হয়।
কিন্তু তা মোটেও যথার্থ নয়। গ নং প্রশ্নের প্রয়োগ স্তরে উদ্দীপক এর লেখা লিখতে হয়। তবে হুবহু উদ্দীপক তুলে দিলে ভুল হবে।
উদ্দীপকের মূল বিষয়টি (যা গ নং প্রশ্নে চাওয়া হয়েছে) পাঠ্যবই এর যে বিষয়বস্তুটির সাথে মিল আছে সেই প্রসঙ্গকে মাথায় রেখে উদ্দীপক এর বর্ণনা দিতে হবে।এভাবে এ প্যারা ৬-৭ বাক্যে লেখা ভালো।
শেষ লাইনে তুলনামূলক লেখা লিখলেও লেখা যেতে পারে।তবে আবারো বলছি – “প্রয়োগ স্তরে হুবহু বই এর তথ্য বা নাম বা ঘটনা লেখা যাবে না।”
“ঘ” নং প্রশ্ন বা উচ্চতর দক্ষতামূলক সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর দেওয়ার নিয়ম
“ঘ” নং প্রশ্ন বা উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্ন উত্তর দিতে হবে ১৫-১৭ বাক্যে।
So,“ঘ” নং প্রশ্ন বা উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্নের সাধারণত ৪টি অংশ। যথাঃ জ্ঞানস্তর, অনুধাবনস্তর, প্রয়োগস্তর ও উচ্চতর দক্ষতাস্তর।
বলে রাখা ভালো যে, “উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্ন সাধারণত ‘বিশ্লেষণমূলক, বর্ণনামূলক, তুলনামূল, ‘হ্যাঁ / না প্রশ্নমূলক‘ ইত্যাদি হয়ে থাকে।”
- উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্ন সাধারণত বিশ্লেষণ মূলক, বর্ণনা মূলক, তুলনামূলক, ‘হ্যাঁ / না প্রশ্ন মূলক’ ইত্যাদি ধরণের হয় বলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হ্যাঁ / না দিয়ে উত্তর দিতে হয়।
এখানে একটি সরল বাক্যে “কমা, এবং, কিংবা” দিয়ে সংযুক্ত যৌগিক বাক্য লেখা যায়। তবে এ বাক্যেই উত্তরের স্পষ্টতা বজায় থাকবে।
- অনুধাবনমূলক স্তরটি গ নং প্রশ্নের মতো ৪-৫ বাক্যে লিখতে হবে।
উদ্দীপকের যে দিকটি বই এর কোনো বিষয়ের সাথে মিল আছে – সেই বিষয়ে ৪-৫ বাক্য লিখতে হবে।
মূলত প্রশ্নে চাওয়া দিকটি উদ্দীপক ও বই এর সংগতিপূর্ণ দিক এর সাথে মিল রেখে সংক্ষেপে নিজ ভাষায় (নিজের মতো করে) ৪-৫ বাক্য লিখলেই যথেষ্ট।
- ঘ নং প্রশ্নের প্রয়োগমূলক স্তরটি গ নং প্রশ্নের মতোই ৫-৬ বাক্যে লিখতে হবে।
প্রয়োগ স্তরে উদ্দীপকের লেখা লিখতে হবে। (গ নং প্রশ্নের উদ্দীপক স্তর অনুসরণ করতে হবে।)
- ঘ নং প্রশ্নের উচ্চতর দক্ষতামূলক স্তরটি খুব গুরুত্বপূর্ণ।
তুলনামূলক আলোচনা, প্রশ্নানুযায়ি বিশ্লেষণ শেষে নিজের মতামত ও সিদ্ধান্ত প্রদান করে কোনো উক্তি বা তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত করার নামই উচ্চতর দক্ষতাস্তর (সৃজনশীল প্রশ্নে)।
এ স্তরে উদ্দীপকের বিষয়বস্তু ও পাঠ্যবই এর বিষয়বস্তুর তুলনা করতে হবে। এমনকি প্রশ্নে চাইলে কোনো উক্তি বা কোনো মতামতের যথার্থতা যাচাই করতে হতে পারে।
সেসব ক্ষেত্রে ঐ মতামতের বিষয় এর সাথে সংশ্লিষ্ট বই এর দিক উল্লেখপূর্বক নিজের মতামত প্রদান করতে হবে।
এটিই মূলত সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম বা পদ্ধতি।
আরও পড়ুনঃ গণিতে দক্ষ হওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায়
অন্যান্য বিষয়গুলোর সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম
সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম ‘বাংলা, বিজ্ঞান, ধর্ম এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়’
উপরের বর্ণিত সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার বোর্ডের নিয়ম” এ বাংলা, বিজ্ঞান, ধর্ম এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এর সৃজনশীল প্রশ্ন লেখা হয়।
জ্ঞান মূলক, অনুধাবন মূলক, প্রয়োগ মূলক এবং উত্ততর দক্ষতা মূলক প্রশ্নের সমন্বয়ে এই বিষয়গুলোর প্রশ্ন হয়ে থাকে।
সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম ‘গণিত / উচ্চতর গণিত’
গণিত বা উচ্চতর গণিত এর সৃজনশীল প্রশ্নে ৩টি প্রশ্ন থাকে।
এর মানবণ্টন হলো –
- “ক” নং প্রশ্নের মান ২ নম্বর।
- “খ” নং প্রশ্নের মান ৪ নম্বর।
- “গ” নং প্রশ্নের মান ৪ নম্বর।
“ক” নং এ কোনো মান নির্ণয় বা কোনো সংজ্ঞা বা যেকোনো প্রশ্ন থাকবে। তবে তা বেশি বড় হবে না বা বেশি জটিল হবে না।
“খ” নং ও “গ” নং প্রশ্নেও কোনো মান নির্ণয় বা সমাধান বা প্রমাণ কিংবা যেকোনো প্রশ্ন থাকতে পারে। যা উদ্দীপক এর সাথে সম্পর্কযুক্ত।
তবে বই এর উদাহরণ, কাজ এবং অনুশীলনীর সবগুলো অংক ভালোভাবে অনুশীলন করলেই গণিত বা উচ্চতর গণিত সৃজনশীল প্রশ্নে পূর্ণনম্বর পাওয়া যায়।
সৃজনশীল খাতা দেখার নিয়ম
সৃজনশীল খাতা দেখার বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত নিয়ম রয়েছে। এই নিয়ম সাধারণত মাস্টার্স ট্রেইনারদের কাছে বোর্ড থেকে প্রদান করা হয় যা কিছু প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের অবহত করা হয়।
এককথায়, সৃজনশীল খাতা দেখার নিয়ম হলো – মূল উত্তর অনুসন্ধান। প্রশ্নের চাওয়া অনুযায়ী মূল উত্তর থাকলে শিক্ষক পূর্ণ নম্বর দিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রাখাও বাঞ্ছনীয়।
সৃজনশীল প্রশ্নে পূর্ণ নম্বর পাওয়ার উপায় | সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম
“সৃজনশীল প্রশ্নে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যায় না” – এ ধারণাটি সম্পূর্ণই ভুল।
কেননা যথার্থ উত্তর করতে পারলে, লেখায় মূল বিষয়গুলো উল্লেখ থাকলে, অপ্রয়োজনীয় লেখা না থাকলে, একই লেখার পুনরাবৃত্তি না ঘটলে, লেখায় বানান কিংবা শব্দ প্রয়োগে যথার্থতা থাকলে, সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার বোর্ডের নিয়ম মেনে চললে শিক্ষার্থী অবশ্যই পূর্ণ নম্বর পাবে অর্থাৎ ১০/১০ পাবে।
সৃজনশীল প্রশ্নের সুবিধা ও অসুবিধাগুলো কী কী? সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম
প্রত্যেক জিনিসের মতোই সৃজনশীল প্রশ্নের ও সুবিধার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি অসুবিধাও রয়েছে।
সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতির অসুবিধা হলো
- এ পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মুখস্থ নির্ভরশীলতা হ্রাস পেয়েছে।
- মূলত এ পদ্ধতির দ্বারা শিক্ষার্থীরা পাঠ্য বই শুধু পড়ার মধ্যেই আবদ্ধ রাখে না।
মূল বিষয়গুলো সনাক্তকরণ এবং সে দিকগুলোর সাদৃশ্য বা বৈসাদৃশ্যকরণে তারা দক্ষতা অর্জন করে।
- এ পদ্ধতি মুখস্থনির্ভর প্রশ্নগুলোর তুলনায় উত্তর করা সহজ।
এজন্য খুব সহজেই শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর করতে পারে।
- এই পদ্ধতির কল্যাণে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল প্রতিভার উন্মেষ ঘটে।
এক নতুন সৃজনশীলতার পরিচয় দেয় একজন শিক্ষার্থী।
সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতির অসুবিধা হলো
- এই পদ্ধতির ফলে অনেক শিক্ষার্থী (প্রায় ৩৫%) উচ্চতর দক্ষতা স্তর লেখার নিয়ম বুঝে না।
ফলে তারা উত্তর প্রদানে নির্ভুলতা বজায় রাখতে পারে না।
- এই পদ্ধতির ফলে আগের তুলনায় কোচিং নির্ভর হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
আর কোচিং সেন্টারগুলোর কিছু অদক্ষ শিক্ষকদের জন্য শিক্ষার্থীরা নির্ভুল পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারছে না।
- এ পদ্ধতির ফলে এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, আগের তুলনায় শিক্ষার্থীদের মাঝে এক আলাদা ভীতি কাজ করে এটি।
সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম সম্পর্কে আজ আর লিখছি না।
শেষকথা:
‘সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম বা সৃজনশীল প্রশ্ন কী? সৃজনশীল প্রশ্নের বিস্তারিত’ – পোস্টটি আজকের মতো এই পর্যন্তই। পড়ালেখা সংক্রান্ত আকর্ষণীয় কন্টেন্ট পেতে ‘বিডি ব্লগ টাইম‘ এর সাথেই থাকুন। আসসালামু আলাইকুম।