ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়? ব্লগিং কি? কিভাবে শিখব ২০২৪

‘ব্লগ বা ব্লগিং কী? ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়? কিন্তু ব্লগিং করে কি আসলেই টাকা ইনকাম করা যায়? ব্লগিং কিভাবে শিখব ২০২২? বাংলা ব্লগিং সাইট – ইত্যাদি সকল প্রশ্নের যথাযথ উত্তর আজকের এই ব্লগ পোস্টে দেওয়ার চেষ্টা করবো।

“ব্লগিং কি? তবে ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়? ব্লগিং কিভাবে শিখব ২০২১ (ব্লগিং গাইড)” – এর আজকের এই ব্লগ পোস্ট পড়ার আগে হয়তো অন্যান্য ব্লগের অনেক ব্লগ পোস্ট পড়েছেন।

তবে আমার এই ব্লগ পোস্টে আলোচনা করা হবে মূলত, ব্লগিং কী, ব্লগিং শুরু করার গাইড বা উপায়, ব্লগার থেকে ব্লগিং করে টাকা আয় করার উপায়সমূহ এবং ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়? এসব নিয়ে। তাই কিছু কথা জেনে মূলকথায় যাওয়া যাক।

ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়? ব্লগিং কি? কিভাবে শিখব ২০২২

কিভাবে ব্লগিং করা শুরু করবো? ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়

চলুন জেনে নিই, ‘ব্লগিং করে টাকা আয় করার উপায় ২০২২। অনলাইনে ইনকাম‘ – পোস্টটিতে খুব সংক্ষেপে আলোচনা করেছিলাম ব্লগিং নিয়ে। আজ তার ধারাবাহিকতায় বিস্তারিত খুটিনাটি আলোচনা করবো।

ব্লগিং করার আগে জেনে নেয়া ভালো যে, ব্লগিং করার দুটি উপায় রয়েছে আপনার সামনে। একটি হলো –

➤ ফ্রিতে ব্লগিং প্লাটফর্মগুলো থেকে ব্লগিং করা

ফ্রি ব্লগিং প্লাটফর্ম থেকে ব্লগিং করা

ব্লগিং করে টাকা আয় করার জন্য কিছু ফ্রি সাইট আপনাকে পুরো বিনামূল্যে একটি ব্লগ তৈরি করতে দিবে এবং সেগুলির ব্যবহার করা খুবই সহজ। ‘ব্লগার‘ হলো গুগলের একটি ফ্রি ব্লগ হোস্টিং সার্ভিস। আর ব্লগিং করে টাকা আয় করার জন্য আমি মনে করে ব্লগার ই সবচেয়ে সেরা ফ্রি ব্লগিং সাইট।

আপনি যদি প্রথমে ব্লগে ব্লগিং করতে চান তবে এটি আপনার জন্য উপযুক্ত হবে। কিন্তু, বিনামূল্যে ব্লগিং প্ল্যাটফর্মগুলি খুব সীমিত হতে পারে । আপনি শুধুমাত্র সীমিত পরিমাণে কাস্টমাইজ করতে সক্ষম হবেন এবং আপনার ব্লগে একটি স্টোরেজ সীমা থাকবে যা বড় ভিডিও এবং ছবি আপলোড করা কঠিন করে তুলতে পারে।

ব্লগিং করে টাকা আয় করার অসুবিধাগুলোর মধ্যে মূলত এগুলোই। অর্থাৎ, কাস্টমাইজেশন এবং ভিডিও/ইমেজ আপলোডের সীমাবদ্ধতা কিংবা মাঝেমাঝে কিছু বিজ্ঞাপন দিতে বা অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক ব্যবহার করতে না পারা, অথবা কিছু পছন্দমতো কাস্টম ইউয়ারএল (URL) তৈরিতে সীমাবদ্ধতা ইত্যাদি।

অর্থাৎ, সব জিনিসের ভালো আর মন্দ দিক থাকে বিধায় এরও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে সে সীমাবদ্ধতাগুলো এর সুযোগ সুবিধার সামনে খুবই তুচ্ছ। আর একজন শুরুর দিকের ব্লগার এর জন্য এটি হতে পারে অনেককিছু।

যাইহোক, যদি এই জিনিসগুলি আপনাকে বিরক্ত না করে, এবং ব্লগিং করে টাকা আয় করার কথা চিন্তা করেন তবে বিনামূল্যে অনলাইনে ব্লগিং করে টাকা আয় করা শুরু করে দিন।

ফ্রি ব্লগিং প্লাটফর্মগুলির একটি ছোট তালিকা দিয়ে দিলাম।

সেরা ব্লগিং করে টাকা আয় করার সাইটসমূহ

 

১। ব্লগার (Blogger):

‘ব্লগার’ হলো গুগলের একটি ফ্রি ব্লগ হোস্টিং সার্ভিস। আর ব্লগিং করে টাকা আয় করার জন্য আমি মনে করে ব্লগার ই সবচেয়ে সেরা ফ্রি ব্লগিং সাইট। আর মজার ব্যাপার হলো যে, ‘ব্লগার‘ থেকে ব্লগিং করা খুবই সহজ।

আর গুগলের ওয়েব হোস্টিং সার্ভিস হওয়াতে অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে। আর কোনো ধরনের সমস্যা হলে ‘ব্লগার কমিউনিটি‘ খুব দ্রুত এর সমাধানের উত্তর দিয়ে থাকে। আর ‘ব্লগার‘ এ যেকোনো এড অথোরিটির এড বা বিজ্ঞাপন প্রকাশের মাধ্যমে ব্লগ থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

 

২। ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress):

ওয়ার্ডপ্রেস‘ ও একটি বিনামূল্যে পরিষেবা প্রদানকারী ব্লগ হোস্টিং সার্ভিস। এটিও ব্যবহার করা খুব সহজ। আর এখানেও আপনার ব্লগ সাইটে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে টাকা আয় করা যায়।

শুধুমাত্র বাজেট মতো একটি হোস্টিং সাইট থেকে হোস্টিং কিনে একটি ডোমেইন কিনে শুরু করে দেয়া যায়।

আমার মতে ‘ব্লগার (Blogger)‘, ‘ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress)‘ ই ব্লগিং করে টাকা আয় করার সাইট এর জন্য সর্বোত্তম পন্থা। বিশেষত ‘ব্লগার’ সাইটটি।

তাই দেরি না করে শুরু করুন ‘ব্লগিং করে টাকা আয়’

 

৩। মিডিয়াম (Medium):

মিডিয়াম‘ মূলত আমাদের মতো ব্লগারদের জন্য কিছুটা দুর্বোধ্য। তবে বিশ্বের অনেক সাংবাদিক, গবেষকেরা ‘মিডিয়াম’ ব্যবহার করে থাকে। তবে আমার জানা মতে, এখানে কোনো এড দেখানো যায় না নিজস্ব সাইটটিতে। আর নিজস্ব ব্র‍্যান্ডিং এখানে অত্যন্ত কঠিন।

তাই এই সাইটটি শুধু জানার জন্য জেনে রাখুন। আর ‘ব্লগার’ বা ‘ওয়ার্ডপ্রেস’ এর মাধ্যমে শুরু করতে পারেন।

 

ব্লগার কি? ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়

প্রশ্নটি হলো, ব্লগার কি?

ব্লগার বলতে বোঝানো হয়, যে ব্যাক্তি ব্লগিং করে তাকে। কিন্তু একটি ব্লগ হল ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (WWW – World Wide Web) এ প্রকাশিত একটি আলোচনা বা তথ্যবহুল ওয়েবসাইট যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন তথ্যের সমাবেশ যা হতে পারে কারো ব্যাক্তিগত মতামত।

ব্লগ পোস্টগুলি সাধারণত বিপরীত কালানুক্রমিকভাবে প্রদর্শিত হয়, যাতে এসইও ফ্রেন্ডলি পোস্টটি সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম ওয়েব পৃষ্ঠার শীর্ষে অবস্থান করে।

 

ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় 2022 | ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় ২০২২

আপিনারা হয়তো ‘ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়?’ কথাটি টাইটেলে দেখেই পোস্টটিতে ঢুকেছেন।

আসলে ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় – বিষয়টি মূলত কয়েকটি বিষয়ের উপরে নির্ভর করে থাকে।

যেমন: আপনার ব্লগের লেখার কোয়ালিটি অনুযায়ী, দর্শকদের রেস্পন্স, আবার ব্লগে ভিজিটর্স বা ট্রাফিক কেমন আসে? কোন জায়গায় প্রকাশিত এডে বেশি ক্লিক পড়ে, কোন দেশের ট্রাফিক বেশি ভিজিট করে? সিপিসি রেট কত? ইত্যাদির ওপর।

তবে ভালো লেখালেখি করতে পারলে, বাংলায় ব্লগ লিখে মাসে আনুমানিক $১৫০- $১৮০ আয় করতে পারেন। যার বাংলাদেশী মূল্য প্রায় ১৫০০০ টাকা থেকে ১৫০০০ টাকার মতো।

 

বাংলা ব্লগাররা ব্লগিং করে কত টাকা আয় করে থাকে?

বাংলা ব্লগে ব্লগিং করে ইংরেজি ব্লগারদের মতো এতোটা ইনকাম করতে পারবেন না। সেই পরিমাণটা ইংরেজি ব্লগারদের থেকে প্রায় ১০ গুণ কম ও হতে পারে। তবে চিন্তার কারণ নেই।

কেননা আমার পরিচিত অনেকেই দিনে মাত্র ২-৩ ঘণ্টা ব্লগের জন্য সময় ব্যয় করে অনায়াসে ১৫০০০/= – ২৫০০০/= টাকা কামিয়ে নিচ্ছে। (কম বা বেশি হয়ে থাকে)।

তাই, আপিনি যদি ভালো কোনো বাংলা আর্টিকেল লিখতে পারেন, তবে নিয়মিত কাজ করে, গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ১৫–২০ হাজার টাকা ইনকাম করা আপনার পক্ষে কোনো ব্যাপারই হবে না।

But, খুব দ্রুতই বা অল্প পরিশ্রমে ভালো কিছু আশা করাটা বোকামি। (এটি যেকোনো বিষয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য!)

আর বাংলা ব্লগ সাইটে অডিয়েন্স বা দর্শক খুব কম আসে বিধায় এখানে আয় কিছুটা কম হয়ে থাকে। তারপরেও ব্লগ পোস্ট লেখা যদি নিয়মিত রাখতে পারেন তাহলে পোস্ট যতো বেশি হবে ভিজিটর্স ও ততো বেশি আসবে। ফলে ব্লগিং করে আয় এর পরিমাণ ও বেড়ে যাবে।

তাই, ৩০-৩৫ টি পোস্ট লিখে প্রতিদিন ২০০-৩০০ ভিজিটর্স ব্লগে আনতে পারলে আপনি খুব সহজেই ৩–৪ ডলার এমনকি ৫ ডলারও আয় করতে পারবেন

এভাবে পোস্ট যতো বেশি থাকবে আয় ততো বাড়বে।

তবে কোন জায়গার এড এ বেশি ক্লিক পড়ে, সেই যায়গা চিহ্নিত করতে হবে। আবার খেয়াল রাখতে হবে যেন অতিরিক্ত এড এর কারণে দর্শকদের মূল পোস্ট পড়তে অসুবিধা না হয়।

 

ইংরেজি ব্লগ সাইট থেকে কত টাকা আয় করা যায়?

আমি আগেই বলেছি যে, ইংরেজি ব্লগাররা ব্লগিং করে যে পরিমাণ টাকা আয় করে থাকে তার পরিমাণ বাংলা ব্লগারদের আয় এর থেকে প্রায় ১০ গুণ বা তারও অনেক বেশি হতে পারে।

আপনি যেনে অবাক হবেন যে, একজন প্রোফেশনাল ইংরেজি ব্লগার ব্লগিং করে কয়েক মাসে ৪০০০০ ডলার ও ইনকাম করতে পারে (আয় এর একাধিক উপায় অবলম্বন তো করেই!)।

বিষয়টি অসম্ভব ভাবার কোনো কারণই নেই। ইংরেজি ব্লগ সাইটে ব্লগিং করলে ভিজিটর্স অনেক বেশি পাওয়া যায়। আর সেইসকল সাইটগুলোতে সিপিসি রেট ও থাকে অনেক বেশি। আর বিশ্বের অনেক দেশের ভিজিটর্স আসায় একটি ইংরেজি ব্লগ সাইট থেকে ব্লগিং করে অনেক টাকা ইনকাম করা যায়।

তাই, ইংরেজি ব্লগ লিখে মাসে ১০০০–২০০০ ডলার আয় করা খুব একটা কঠিন কাজ না। আস্তে আস্তে আপনার আয় বাড়তে থাকবে।

মূলত এই ছিলো ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়? এ সম্পর্কে। আমি পরবর্তীতে আমার আয় সম্পর্কে একটি পোস্ট দিব।

 

ব্লগিং করে টাকা আয় করে কিভাবে পেমেন্ট নিবেন? ব্লগিং করে কত টাকা আয় করবো এবং পেমেন্ট নিব

অনেকেই হয়তো এই বিষয়টি নিয়ে ভেবেছেন। যে, কিভাবে ব্লগিং করে টাকা আয় করে পেমেন্ট নিবেন?তাদের জন্য বলছি। ব্লগিং করে টাকা আয় করে আপনি সহজেই অত্যন্ত জনপ্রিয় ৫টি উপায়ে পেমেন্ট নিতে পারবেন। এগুলো হলো –

 

  • Wire Transfer (ব্যাংক একাউন্ট এ)
  • পেপাল
  • পায়োনিয়ার
  • ট্রান্সফার ওয়াইজ
  • কয়েনবেস (ক্রিপ্টো পেমেন্ট সিস্টেম)

 

তবে আমি সাজেস্ট করবো সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত ব্লগিং করে টাকা আয় করে পেমেন্ট নেওয়ার পদ্ধতি অবলম্বন করতে।

আর সেটি হলো যেকোনো ব্যাংক একাউন্ট এ পেমেন্ট নেয়া। এবং এডসেন্সে ব্যাংক একাউন্ট যুক্ত করা খুবই সহজ একটি উপায়। তবে ব্যাংক একাউন্ট এড করতে কোনো সমস্যা হলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।

আর যদি ব্যাংক একাউন্ট না থেকে থাকে সেক্ষেত্রে পেপাল বা পায়োনিয়ার একাউন্টে পেমেন্ট নিয়ে নিতে পারবেন।

 

ব্লগিং শুরু করার আগের গাইড বা টিপস | কিভাবে ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়

 

১। ব্লগ টপিক নির্বাচন করুন

ব্লগ টপিক নির্বাচন করা ব্লগ তৈরির জন্য সবচেয়ে সহজ বা সবচেয়ে কঠিন কাজ হতে পারে। কথাটি অদ্ভুত হলেও সত্য।

তাই এ পর্যায়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হবে নিশ নির্বাচন করা। ভাবতে পারেন নিশ কি?সহজ ভাষায়, ব্লগিং এর ক্ষেত্রে ‘নিশ’ হলো আপনার ব্লগের লেখার টপিকগুলোর মধ্যে থেকে যে বিষয়টি আপনি মূল ফোকাসে রাখবেন সেটি।

তো যাই হোক, ফিরে যাই ব্লগ টপিক নির্বাচন এর আলোচনায়।

আপনি আপনার ব্লগে কোন টপিক নিয়ে লিখবেন, সেটা নিশ্চয়ই অন্য কেউ ঠিক করে দিবে না! আর অন্য কারো পরামর্শ নিয়ে ব্লগ টপিক নির্বাচন করলেও ব্লগ পোস্টগুলো কিন্তু আপনাকেই লিখতে হবে।

তাই, একটু সময় নিয়ে আপনার ব্লগ টপিক নির্বাচন করুন। কেননা এর ওপরই নির্ভর করছে আপনার পরবর্তী ব্লগিং ক্যারিয়ার। কেননা হয়তো অন্যের কথায় কিংবা ঐ সময়ের জনপ্রিয় বা হিট টপিক নিয়ে লেখা শুরু করলেন।

সেই টপিকটি যদি আপনার ভালো লাগার বিষয়ই না হয়, তাহলে আর আপনি বেশিদিন এটি চালিয়ে যেতে পারবেন না। আর আপনার ভালো লাগার বিষয় নিয়ে লেখালেখি শুরু করুন, সেটি যাই হোক, একদিন নিশ্চয়ই সফল একটি ব্লগে দাঁড় করাতে পারবেন।

তারপরেও নতুন ব্লগারদের ব্লগ টপিক নির্বাচন করার জন্য কিছু টিপস তো থাকছেই –

☞ অন্যান্য ব্লগ ঘুরে দেখা – ভালোভালো এবং সফল কিছু ব্লগ ঘুরে দেখুন।

☞ লক্ষ্য করুন ঐসব ব্লগারদের যাদের ব্লগ পোস্টে কোন টপিকগুলোতে ফোকাস করছে। সেইসব ব্লগে কোন বিষয়গুলোর অনুপস্থিতি রয়েছে, তা খুঁজে বের করুন। মূলত, অনুপস্থিতি বা ফাঁক খুঁজে বের করতে হবে।

☞ গুগলের সাহায্য নিন – মানুষ কোন জিনিসগুলো বেশি খুঁজে, কোন টপিকগুলো বেশি চায়? গুগল থেকে গুগলের সার্চ সাজেশগুলো বের করুন, কেননা সেই টপিকগুলোর ডিমান্ড বেশি।

☞ বিভিন্ন ফোরামে গিয়ে প্রশ্ন করুন – যখন কেউ কোনো কিছুর সমাধান খুজে পায় না, তখিন সে বিভিন্ন ফোরামে গিয়ে প্রশ্ন করে। এবং বিভিন্ন অভিজ্ঞতা আপনাকে আপিনার কাঙ্ক্ষিত বিষয়ের পরামর্শ দিতে পারে।

☞ বিভিন্ন বিষয়বস্তু নিয়ে চিন্তা করুন – আপনার নিজস্ব চিন্তা গবেষণাই পারে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত করতে। তাই চিন্তা করুন আপনার টপিক নির্বাচন করতে।

☞ আপনার নিজস্ব আগ্রহ ও আবেগগুলো চিহৃত করুন – আগেও বলেছি, ব্লগ টপিক নির্বাচন করার সর্বাপেক্ষা উত্তম উপায় এটি। কেননা, ব্লগ আপনার, লিখবেন আপনি।

তাই, আপনিই ভালো বুঝবেন আপনার কোন বিষয়গুলোতে আগ্রহ ও আবেগ রয়েছে। সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।

 

২। ব্লগ পোস্ট লেখার জন্য উপযুক্ত ধারণা

ব্লগের জন্য টপিক নির্বাচন করা হলো, ব্লগ এড্রেস সিলেক্ট করলেন (ব্লগ এড্রেস তৈরি কঠিন কিছু নয়!) এখন সময় আসল কাজের।

অর্থাৎ, ব্লগ পোস্ট লেখার জন্য যে পর্যাপ্ত তথ্য বা ধারণা, সেটি আওতায় নেয়া।

এজন্য কিছু রিসার্চ করতে পারেন। আমি মূলত কোনো ব্লগ পোস্ট লেখার পূর্বে সেই টপিক সংক্রান্ত ইংরেজি ভালো র‍্যাংক পাওয়া পোস্টগুলো পড়ে ধারণা নেই। তারপর ব্লগ পোস্ট লেখা শুরু করি।

এছাড়াও পরিচিত বিষয়বস্তু হলে নিজের জ্ঞান থেকে লেখাই সর্বোত্তম।

 

৩। ব্লগ পোস্ট লেখার পূর্বে এসইও (SEO) এর ধারণা থাকা

অনেকেই হয়তো এই SEO বা এসইও সম্পর্কে জানেন না। কিন্তু একটি ব্লগ পোস্ট লেখার পূর্বে SEO সম্পর্কে ধারণা রাখা অত্যন্ত জরুরি।

কেননা SEO – Search Engine Optimization এর মাধ্যমেই আপনার লেখা পোস্ট গুগলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে এবং যার ফলে আপনার ঐ SEO Friendly পোস্টটি উঠে আসবে গুগল বা সার্চ ইঞ্জিনের সার্চ রেজাল্টের অনেক উপরে।

যার ফলে আপনার পোস্টে ক্লিক পড়বে। এবং ব্লগিং ক্যারিয়ারে এর বিকল্প নেই।তাই, ভালোভাবে এসইও পোস্ট লেখার নিয়ম, এসইও কি?

এসইও পোস্ট এর ধাপগুলি জেনে তারপর ব্লগ পোস্ট লেখায় হাত দেয়া উচিত বলে আমি মনে করি।

➤ আরো পড়ুন:

 

ব্লগে ট্রাফিক বৃদ্ধি করবেন কিভাবে? ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়

ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়? ব্লগিং কিভাবে শিখব ২০২১ (ব্লগিং গাইড)’ – পোস্টটির মূল কথা কিন্তু ব্লগিং করে টাকা আয় করার উপায় এবং ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় সে সম্পর্কে।

কিন্তু, ভাবতে পারেন যে, সেই কথায় না গিয়ে শুধু শুধু ব্লগের টপিক, ব্লগের ট্রাফিক নিয়ে প্যাচাল পারছি কেন!

 

এসইও (SEO) করা ব্লগ পোস্ট

আগেই বলেছিলাম, ব্লগিং করে সফল হতে চাইলে এসইও সম্পর্কে জানার বিকল্প নেই। কেননা, আপনার ব্লগ পোস্ট যতো বেশি এসইও এর নীতিমালা মেনে তৈরি করা হবে, আপনার ব্লগ পোস্টটি গুগল সার্চ রেজাল্টে ততো উপরে চলে আসবে।

এবং খুব দ্রুতই ব্লগে ট্রাফিক বা ভিজিটর্স বাড়তে থাকবে। গুগলের কাজ শেষ। এখন ভিজিটর্সকে পোস্টটি পড়ানোর দায়িত্ব আপনার। আপনার পোস্ট যতো সুন্দর (মূলত তথ্যবহুল) হবে, ভিজিটর্স ততো বেশি সময় নিয়ে পোস্টটি পড়বে।

 

নিয়মিত ব্লগ পোস্ট সাবমিট করে ‘ব্লগিং করে টাকা আয়’

এর আগের পোস্টেও আমি বারবার বলেছিলাম, ব্লগে ভিজিটর্স বা ট্রাফিক বাড়াতে এবং ভিজিটর্স ধরে রাখতে নিয়মিত ব্লগ পোস্ট সাবমিটের বিকল্প নেই। তাই প্রথম প্রথম নিয়মিত ব্লগ পোস্ট সাবমিটের চেষ্টা করতে হবে।

✘ তাই, উদাহরণস্বরূপ বলতে পারি যে, আমরা কোনো গাছ বা বৃক্ষ রোপণ না করেই যদি সেই বৃক্ষ থেকে ফল পাওয়ার আশা করি, তাহলে ব্যাপারটা রীতিমতো একটা বোকামি ছাড়া আর কিছুই না। ✘

✘ তেমনিভাবে আপনার ব্লগ ভালোভাবে না সাজিয়ে, ব্লগ বা ব্লগার সম্পর্কে ভালো ধারণা না নিয়ে, ব্লগের ট্রাফিক কি? ট্রাফিক বাড়ানোর উপায় না জেনে ব্লগিং করে টাকা আয় করার আশা করাটা সেই অস্তিত্বহীন বৃক্ষ থেকে ফল ভোগের চিন্তার মতই হবে। ✘

যাই হোক, ব্লগে ট্রাফিক বা ভিজিটর্স বৃদ্ধি করব কিভাবে?

আপনার ব্লগের জন্য ব্লগ পোস্ট তৈরির পর সেই পোস্টটি পড়ার জন্য পর্যাপ্ত ভিজিটর্স বা ট্রাফিক এমনিতেই আসবে না কিংবা ব্লগটি পড়বে না! সে জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে।

ব্লগে ট্রাফিক বা ভিজিটর্স বাড়ানোর জন্য প্রাথমিকভাবে –

নিয়মিত ব্লগ পোস্ট লেখা

তবে চাপ নিয়ে নয়। নিজের সুবিধামতো ব্লগ পোস্ট লিখুন, এবং সাবমিট করুন। এতে করে খুব দ্রুতই ব্লগে ভিজিটর বেড়ে যাবে।

বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা যেতে পারে

ব্লগে অর্গানিক ট্রাফিক অর্থাৎ, গুগলের সার্চ রেজাল্ট থেকে ভিজিটর্স আসার উপায় মূলত উপরোক্ত দুটিই পদ্ধতি (আরো আছে, তবে আজকের আলোচনায়!)।

আর বিভিন্ন রেফারেন্স এ ভিজিটর্স আনার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার বিকল্প নেই।

অন্য ব্লগার সাইটে লিংক করিয়ে

প্রায় একই বিষয়ে লেখালেখি করে এমন ভালো কোনো ব্লগার সাইটের সাথে নিজের সাইট লিংক করাতে পারলে অনেক ভিজিটর্স পাওয়া যায়। এজন্য ঐ ব্লগের মালিকের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে করতে হবে।

হিট হওয়া বিভিন্ন সংবাদ প্রচার করে

ব্লগের মধ্যে নিয়মিত বিভিন্ন হিট নিউজ প্রচার করার মাধ্যমেও ব্লগের ভিজিটস বাড়ানো যায়।

ভাইরাল জিনিস নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে সবাই ভালোবাসে। তাই ভাইরাল টপিকে লেখালেখির মাধ্যমেও অনেক ভিজিটর্স জোগাড় করা যায়।

ভাইরাল কন্টেন্ট তৈরি করুন

ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট এবং এমনকি লিঙ্কডইন – এ আপনার ব্লগের জন্য পেজ/অ্যাকাউন্ট সেট -আপ করার মাধ্যমে কিংবা সেখানে ব্লগের প্রোমোট করার মাধ্যমে অনেক ভিজিটর্স আনতে পারেন।

 

ব্লগিং করে কিভাবে টাকা আয় করা যায় ২০২২? (আর্নিং গাইড)

ব্লগিং করে বিভিন্ন উপায়ে টাকা আয় করা যায়। তবে এটি নির্ভর করবে আপনার ব্লগের ধরণের ওপর। আর একটি বিষয় জানিয়ে নিই। অনেকের ধারণা যে, শুধু ইংরেজি ব্লগ গুলো থেকেই টাকা আয় করা যায়, বাংলা ব্লগ থেকে টাকা আয় করা যায় না!

এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ইংরেজি ব্লগের তুলনায় কম হলেও বাংলায় ব্লগ লিখে ১০০% টাকা আয় করা যায়।

ব্লগিং করে টাকা আয় করার উপায়গুলো হলো –

 

  1. এড নেটওয়ার্ক থেকে (গুগল এডসেন্স, গ্রিন-রেড)
  2. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (সর্বাপেক্ষা লাভজনক উপায়)
  3. নিজস্ব ই-বুক বিক্রি করে
  4. পেইড রিভিউ / স্পন্সর্ড পোস্ট
  5. ব্র‍্যান্ডের প্রচারণা চালানো
  6. অনলাইন কোর্স চালু করা
  7. আপনার দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে সেবা প্রদান

ব্লগিং করে টাকা আয় করার উপায়গুলোর বর্ণনা:

১। এড নেটওয়ার্ক (যেমন: গুগল এডসেন্স)

আপনার ব্লগ সাইটটি মনিটাইজিং কিংবা ব্লগিং করে টাকা আয় করার সবচেয়ে সহজ এবং বহুল ব্যবহৃত এবং জনপ্রিয় উপায় এটি অর্থাৎ, যেকনো একটি বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কে ব্লগ সাইটটি যুক্ত করে দেয়া।

বিভিন্ন এড নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে টাকা আয় করার সুবিধা থাকলেও সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত এড নেটওয়ার্ক সাইট হলো ‘গুগল এডসেন্স’

‘গুগল এডসেন্স’ – গুগলের একটি এড নেটওয়ার্কিং সাইট হওয়াতে এর থেকে বেশি বিশ্বস্ত আর সহজ উপায় নেই। তাই সাজেস্ট করবো শুরুর ব্লগারদের জন্য ‘ব্লগিং করে টাকা আয়’ করার অন্যান্য উপায়গুলোর মধ্যে গুগল এডসেন্সে এপ্লাই করে এর এপ্রুভাল পেয়ে আপনার ব্লগ সাইটে এড দেখিয়ে সেখান থেকে টাকা আয় করুন। সে জন্য শুরু থেকেই আপনার ব্লগ সাইটটিকে এডসেন্সের জন্য প্রস্তুত করে তুলতে পারেন।

সুতরাং, শুধু ইংরেজি ব্লগ সাইট নয়, বাংলায় ব্লগ লিখেও এডসেন্সের নীতিমালা মেনে এপ্লাই করে এডসেন্সর এপ্রুভাল পাওয়া যায়।

 

কিন্তু, এছাড়াও যারা এতো নীতিমালায় আবদ্ধ থাকাটা খুবই বিরক্তিকর ভাবছেন। তাদের জন্য বিকল্প কিছু বাংলাদেশী এড নেটওয়ার্ক সাইট রয়েছে।সেগুলোর মধ্যে “Green-Red” এড নেটওয়ার্ক সাইট অন্যতম। চাইলে সাইটটিতে লগইন করে আপনার সাইট সাবমিটের মাধ্যমে ব্লগে এড প্রকাশ করতে পারবেন।

***তবে মনে রাখবেন একসাথে একাধিক এড নেটওয়ার্ক যুক্ত করা যাবে না।

***এছাড়াও wap4dollar, bd-ads, earn4buzz, glossyad, ritsllc, revenuehits, popsup, shorgoad

সাইটগুলোও বাংলাদেশী এড নেটওয়ার্ক সাইট।

যাই হোক, গুগল এডসেন্স এবং অন্যান্য এড নেটওয়ার্কিং সাইট সম্পর্কে অন্য একটি পোস্টে আলোচনা করা হবে।

 

২। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (সর্বাপেক্ষা লাভজনক উপায়)

অ্যাফিলিয়েট বিজ্ঞাপন অর্থ উপার্জনের অন্যতম সেরা উপায় যেহেতু একটি একক বিক্রয় আপনাকে একটি প্রাসঙ্গিক বিজ্ঞাপনে একক ক্লিকের চেয়ে অনেক বেশি অর্থ উপার্জন এর সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিবে।

একটু পুরাতন ব্লগার এবং কিছুটা এক্সপার্ট ব্লগাররা আজকাল ‘অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং‘ ব্যবহার করছেন এবং ব্লগ থেকে অর্থ উপার্জনের অন্যতম লাভজনক উপায় হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসা শুরু করবেন? কিভাবে সঠিক অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম নির্বাচন করবেন? ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা রাখা ভালো।

 

৩। নিজস্ব ই-বুক বিক্রি করে

যদি আপনি শীর্ষ ব্লগারদের ব্যবসায়িক মডেল লক্ষ্য করেন, তাহলে দেখবেন তাদের নিজস্ব পণ্য যেমন ইবুক বিক্রির সাথে তারা সম্পর্কযুক্ত।

আপনাকে যা করতে হবে তা হলো যেকোনো একটি বিষয় বাছাই করা, সেই বিষয়ে একটি ইবুক সংকলন করা এবং এটি আপনার ব্লগে বিক্রয়ের জন্য রাখা।

একবার আপনি এই প্রক্রিয়ায় অভ্যস্ত হয়ে গেলে, আপনি অনলাইনে ইবুক বিক্রি করে একটি ভাল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

ব্লগিং করে টাকা আয় করার অনেক ভালো উপায় এটি তবে তা একটু এডভান্স লেভেলের ব্লগারদের জন্য (প্রাথমিক ব্লগাররা আপাতত, ইউনিক ব্লগ পোস্ট এবং গুগল এডসেন্সের প্রতি জোর দিন)।

আপনি আপনার নিবন্ধগুলিকে একটি সুগঠিত বইতে সংকলন করতে পারেন এবং এটি আপনার ব্লগে বা Amazon এর মতো অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করতে পারেন। এটি আপনাকে লেখক হওয়ার বিশ্বাসযোগ্যতাও দেবে।

৪। পেইড রিভিউ / স্পন্সর্ড পোস্ট

এই পদ্ধতিটিও ব্লগিং করে টাকা আয় ২০২১ এর ভালো একটি উপায় তবে শুরুর দিকের ব্লগারদের জন্য এটি প্রযোজ্য হবে না।

পেইড রিভিউ বা স্পন্সর্ড পোস্ট আপনার মাসিক আয় বাড়ানোর একটি দুর্দান্ত উপায়।

স্পন্সর্ড রিভিউ দেউয়ার জন্য কাজ খুঁজে পাউয়ার কিছু ওয়েবসাইট হলো –

  • Pay per post
  • Tomoson
  • Revcontent

 

৫। ব্র‍্যান্ডের প্রচারণা চালানো

এ পদ্ধতিটি যেকোনো ব্লগারদের জন্য উপযুক্ত হতে পারে। আপনি ব্র্যান্ডের জন্য প্রচারাভিযান চালিয়ে তাদের লক্ষ্য দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করতে পারেন। এর বিনিময়ে, আপনাকে অর্থ প্রদান করে থাকবে।

 

৬। অনলাইন কোর্স চালু করা

আপনি যদি কোনো বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে ইউটিউব এর পরিবর্তে আপনার ব্লগ সাইটটিকেই কোর্স সম্পন্ন করার ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিতে পারেন।

 

৭। আপনার দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে সেবা প্রদান

আপনার দক্ষতার উপর ভিত্তি করে আপনি বিভিন্ন সেবা প্রদান করতে পারেন আপনার এই ব্লগে। আপনি কোন বিষয়ে ভালো সেই বিষয়ে আপনি বিষয়বস্তু লেখা, লোগো তৈরি, এসইও ইত্যাদি অফার করতে পারেন।

পরিষেবাগুলি আপনাকে কেবল অর্থ উপার্জন করতে সহায়তা করে না বরং আপনাকে আপনার দক্ষতা উন্নত করতেও সহায়তা করে। আমি এমন ব্লগারও দেখেছি যারা শুধুমাত্র পরিষেবা প্রদান করে $2000/মাস এর থেকেও বেশি (ইংরেজি ব্লগ থেকে) আয় করেছেন।

আসলে, আপনার পরিষেবা চালু করা বেশ সহজ। আপনাকে যা করতে হবে তা হল – আপনার ব্লগে একটি পৃষ্ঠা বা পেইজ তৈরি করতে হবে এবং আপনি যে পরিষেবাগুলি দিবেন তার তালিকা তৈরি করতে হবে।

সর্বাধিক দৃশ্যমানতার জন্য আপনার ব্লগ নেভিগেশন বারে এবং বিশিষ্ট স্থানগুলোতে সেই পেইজের লিঙ্কটি যুক্ত করতে হবে।

আপনার শ্রোতাদের জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করা এবং আপনার পরিষেবা সম্পর্কে আরও জিজ্ঞাসা করার পদ্ধতিটি সহজ করতে হবে। আসলে, আপনি পেমেন্ট এবং ফলো-আপের মতো কিছু জিনিস স্বয়ংক্রিয় করতে সক্ষম হবেন।

এই উপায়গুলোই মূলত একটি ব্লগ সাইট থেকে ব্লগিং করে টাকা আয় করার উপায়সমূহ। তাই শুধুমাত্র জানার জন্য ব্লগিং করে টাকা আয় করার বাকি উপায়গুলো জেনে নিন, (যদি আপনি শুরুর দিকের ব্লগার হয়ে থাকেন)।

 

“ব্লগিং কি? ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়? ব্লগিং কিভাবে শিখব ২০২১ (ব্লগিং গাইড)” – পোস্টের এ পর্যন্ত পড়ে ভাবতে পারেন, মূল কথায় অর্থাৎ, ‘ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়’ এ বিষয়ে না গিয়ে এতোক্ষণ শুধুমাত্র ব্লগিং করে টাকা আয় করার উপায় নিয়ে আলোচনা করলাম কেন?

উত্তরটি খুবই সাধারণ, আপনি টাকা আয় করার উপায়গুলো জানলেই তো তখন চিন্তা করবেন ‘ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়’ সেই সম্পর্কে!

আপনি কি আসলেই ব্লগিং করে টাকা আয় করতে পারবেন? ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়

আমি এখনো ‘গুগল এডসেন্সে’ এপ্লাই করিনি (এই পোস্ট সাবমিট এর পরেই করবো)। তবে, এ নিয়ে কোনো চিন্তা করার কারণ নেই। গুগল এডসেন্স থেকে বাংলা ব্লগ লিখে আয় করতে পারবেন নিশ্চিন্তে।

 

ব্লগিং করে টাকা আয় জন্য আপনার কোন বিষয়ে ব্লগিং করা উচিত? ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়

ব্লগিং করে টাকা আয় করার জন্য ব্লগের বিষয় নির্ধারণে ৪টি বিষয়ে জোর দিতে পারেন।

  1. প্যাশন বা আগ্রহ: আপনি ইতোমধ্যে যে বিষয়ে আগ্রহী এবং কিছু জ্ঞান রয়েছে, সেই বিষয়টিই ব্লগের লেখার বিষয়বস্তু হিসেবে বেছে নিন।
  2. ট্রাফিক এবং ট্রেন্ডস: ট্রাফিক বা দর্শকদের আগহকে গুরুত্ব দিতে হবে।
  3. মনিটাইজিং বা নগদীকরণ: মনিটাইজিং বিষয়টি আপনার লেখার ধরণ নির্ধারণ করতে প্রভাবিত করতে পারে। কেননা, আপনি কি এডসেন্সের মাধ্যমে টাকা আয় করার কথা ভেবেছেন? নাকি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার কথা চিন্তা করেছেন? নাকি অন্যকিছু? সেই বিষয়টি খেয়াল রাখা জরুরি।
  4. কম্পিটিশন বা প্রতিযোগিতা: ব্লগ লেখা নির্ধারণে এটি অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, আপিনি যদি অনেক প্রতিযোগিতামূলক বিষয়টি বেছে নেন, তাহলে অন্যান্য প্রোফেশনাল ব্লগারদের সামনে টিকে থাকাটা কিছুটা কষ্টকর হয়ে যাবে (আমি আপনাকে অনুৎসাহিত করবো না!)।

তাই, শুরুর ব্লগাররা ২-৩ টি বিষয় পছন্দের থকলে তন্মধ্যে সেই বিষয়টিই সিলেক্ট করুন যেটার কম্পিটিশন কম কিংবা মাঝারি।

তারপর আস্তে আস্তে ভালো লেখালেখি করতে পারলে যেকোনো বিষয়েই লিখা চালিয়ে যেতে পারবেন।

আজকের পোস্টের শেষ পর্যায়ে এসে গিয়েছি। মূলত এই ছিলো ব্লগিং গাইড, ব্লগিং সম্পর্কে, ব্লগিং করে টাকা আয় করার উপায়গুলো নিয়ে, বাংলা ও ইংরেজি ব্লগ থেকে কত টাকা আয় করা যায় এবং কিভাবে পেমেন্ট নিবেন সেই সম্পর্কে।

শেষকথা:

“ব্লগিং কি? ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়? ব্লগিং কিভাবে শিখব ২০২১ (ব্লগিং গাইড)” – পোস্টটিতে চেষ্টা করেছি সবার থেকে কিছুটা আলাদাভাবে উপস্থাপনের জন্য। তবে ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো। যেকোনো বিষয়ে প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করবেন বা ‘যোগাযোগ’ ফর্মে সমস্যার কথা লিখবেন। সাথে সাথে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো।

ব্লগিং করে টাকা আয়, ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়, ব্লগিং করে টাকা ইনকাম, ব্লগিং করার উপায়, ব্লগিং কিভাবে শিখব, ব্লগিং গাইড, অটো ব্লগিং করে আয় ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কিছুটা হলেও বুঝাতে পেরেছি। সবাই ভালো থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।

Leave a Comment