পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ – স্বপ্নের পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ বাংলা

পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ, স্বপ্নের পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ বাংলা

পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ বা স্বপ্নের পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ অনেকেই গুগলে সার্চ করেছেন। পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিধায় আজকের পোস্ট পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ নিয়ে।

পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ | স্বপ্নের পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ

 

বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত সেতুটিই পদ্মা সেতু। এ সেতুর প্রকল্পটির নাম হলো ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু’। পদ্মা সেতু শরীয়তপুর ও মাদারীপুর মুন্সীগঞ্জে মিশেছে।

এই সেতু বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সাথে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটিয়েছে। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় এই প্রকল্প খুলে দিয়েছে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার। ২৩ জুন, ২০২২ নির্মাণ কাজ শেষ হলে পদ্মা হয়ে ওঠে বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু।

মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার এবং প্রস্থ হবে ২২ মিটার। এই সেতুটি একটি দ্বিতল সেতু; উপর দিয়ে চলবে যানবাহন এবং নিচে চলবে ট্রেন। সেতুটি নির্মিত হয়েছে কংক্রিট এবং স্টিল দিয়ে। সেতুর দুই পাশে ১২ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মিত হবে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বুয়েট এবং কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে কর্পোরেশন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস সেতুর নির্মাণ কাজ তদারকি করেছে। পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পে ১৪টি নতুন স্টেশন নির্মাণ এবং ৬টি বিদ্যমান স্টেশন উন্নয়ন ও অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে।

মূল সেতুর পিলার ৪২টি। এর মধ্যে নদীর মধ্যে ৪০টি ও নদীর দুই পাশে দুটি পিলার। নদীর ভেতরের ৪০টি পিলারে ৬টি করে মোট ২৪০টি পাইল। এছাড়া সংযোগ সেতুর দুই পাশের দুটি পিলারে ১২টি করে মোট ২৪টি পাইল রয়েছে। পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসানো হয়েছে। মূল সেতুর কাজ পেয়েছে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। এই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে এর স্থায়িত্ব হবে ১০০ বছর।

পদ্মা সেতু বাংলাদেশের মানুষের একটি স্বপ্নের নাম, যা দেশের অর্থনীতির চেহারা পাল্টে দেবে। পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ ৩০শে জুন ২০২১-এ শেষ হওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছিলো, তবে৭ দিন আগে অর্থাৎ ২৩ জুন, ২০২২ তারিখেই তা শেষ হয় এবং গত ২৫ জুন, ২০২২ তারিখে আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্ভোদন হয়।

করোনা মহামারির কারণে কাজের অগ্রগতি কিছুটা ব্যাহত হয়েছিল। এমন বাস্তবতায় পদ্মা সেতুর প্রকল্পের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানো হয়েছে। সেই অনুযায়ী ২০২২ সালের জুনের মধ্যে যানবাহন চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিলো। ১ জুন, ২০২২ পর্যন্ত যানবাহন ও রেলপথের স্ল্যাব বসানোর কাজ যথাক্রমে ৮৯ শতাংশ এবং ৯৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছিলো। উদ্ভোদনের দিন অর্থাৎ ২৫ জুন, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে মাওয়া প্রান্ত থেকে টোল প্রদান করে প্রথমবারের মত আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুতে আরোহন করেন।

প্রকল্পের অগ্রগতিসংক্রান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ১ জুন, ২০২২ পর্যন্ত মূল সেতুর কাজ এগিয়েছিলো ৯৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। এই সেতুর ফলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে গড়ে উঠবে ব্যাপক শিল্প কারখানা, গার্মেন্টস, গোডাউন প্রভৃতি। ব্যবসায়-বাণিজ্যে আসবে নতুন গতি। নানা অনিশ্চয়তাকে পাশ কাটিয়ে নিজেদের টাকায় বাঙালির স্বপ্ন এখন বাস্তবের পথে। সকলের আশা এই সেতু অচিরেই বদলে দেবে দেশের অর্থনীতি, উন্নত করবে মানুষের জীবনযাত্রা।

অনুচ্ছেদ লেখার নিয়ম

অনুচ্ছেদ লেখার বোর্ডের নিয়ম মূলত এক প্যারায় লেখা। অর্থাৎ ২-৩ পেইজের মধ্যে এক প্যারায় লিখতে হয় অনুচ্ছেদ।

সবার বোঝার সুবিধার্থে ওপরের “পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ” বা “স্বপ্নের পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ” কয়েক প্যারায় ভাগ করে লেখা হয়েছে। শুধুমাত্র বোঝা ও পড়ার সুবিধার জন্য। লেখার সময় এ নিয়ম এড়িয়ে চলবে। এক প্যারায় লেখা অনুচ্ছেদ লেখার নিয়ম।

শেষকথা:

আশা করি যারা পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ খুজছিলেন, তারা অনুচ্ছেদটি পেয়ে গেছেন। আজকের এই পোস্ট এই পর্যন্তই। আসসালামু আলাইকুম।

Leave a Comment