“সুন্দর হাতের লেখা – হাতের লেখা সুন্দর ও দ্রুত করার ১২ টি নিয়ম” – ইত্যাদি প্রশ্ন অনেকেরই মনে হতে পারে। আর আজকের এই ডিজিটাল যুগে এসে আমরা কম্পিউটার কিংবা মোবাইল ফোনে টাইপিং করাতে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়ায় হাতের লেখার গুরুত্বটা ভুলেই গিয়েছি হয়তো।
হাতের লেখা সুন্দর করার প্রাথমিক কৌশল বা পরিকল্পনা
হাতের লেখা একজন ব্যাক্তির সুন্দর মানসিকতা এবং মেধাবী মনোভাবের ব্যাক্তিত্বকে ফুটিয়ে তোলে।
তাই শুধুমাত্র পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার জন্য বাংলা ও ইংরেজি লেখা দ্রুত ও সুন্দর থাকাটা জরুরি নয়।
বরং একজন ছাত্রের সুন্দর লেখার মাধ্যমে তার সৃজনশীলতারও বহিঃপ্রকাশ ঘটে যা তাকে অন্যান্যদের থেকে আলাদা করে।
আপনার লেখা দ্রুত ও সুন্দর করার অনেক কৌশল বা পদ্ধতি রয়েছে। তবে “বিডি ব্লগ টাইম” ব্লগ এর আজকের “বাংলা ও ইংরেজি হাতের লেখা দ্রুত ও সুন্দর করার কৌশল – সুন্দর হাতের লেখা” – পোস্টটিতে আমি বাংলা ও ইংরেজি হাতের লেখা দ্রুত ও সুন্দর করার ১২টি কৌশল বা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবো।
আশা করি, পোস্টটি আপনাদের উপকারে আসবে, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের জন্য। 👨🏫👩🏫
এই প্রাথমিক কৌশলগুলো মূলত অনুশীলনমূলক নয়, এগুলো কিছুটা বিশ্লেষণমূলক ধাপ।
তবে বাংলা ও ইংরেজি লেখা দ্রুত ও সুন্দর করার জন্য এই ধাপগুলো বেশ সহায়ক হতে পারে।
হাতের লেখা সুন্দর করার প্রয়োজন চিহ্নিত করা
মূলত আমার কিছু প্রয়োজনের তাগিদেই বাংলা ও ইংরেজি হাতের লেখা দ্রুত ও সুন্দর করতে আগ্রহী হয়েছি।
But, অনেকেই হয়তো নিজের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর জন্য কিংবা তার সেই লেখা সুন্দর করার দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এই পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
So, আগেই চিহ্নিত করুন আপনি কিসের জন্য লেখা সুন্দর করতে চাচ্ছেন?
কেননা আপনার সেই কারণ চিহ্নিত করা হতে পারে আপনার নির্ধারিত সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য বড় হাতিয়ার।
যেমন: আপনি হয়তো আপনার পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার জন্য লেখা সুন্দর করতে চাচ্ছেন, তাই সেই কারণটি চিহ্নিত করে আপনাকে পরীক্ষার বিষয়বস্তুগুলো পড়ার পাশাপাশি নিয়মিত অল্প অল্প করে হাতের লেখা অনুশীলন করতে হবে।
এজন্যই, উদ্দেশ্য চিহ্নিত করা বেশ জরুরি।
নিজের হাতের লেখা নিজেই দেখুন
আপনি তখনই কোনো একটা জিনিসের ঘাটতি উপলব্ধি করবেন, যখন আপনি সেই জিনিসটা নিজে পর্যবেক্ষণ করবেন।
So, Firstly নিজের লেখা নিজে দেখুন। এতে করে আপনি খুব সহজেই আপনার হাতের লেখার মধ্যে থাকা ত্রুটিগুলো সুন্দরভাবে চিহ্নিত করতে পারবেন।
তাই, প্রথমেই কিছু বাক্য দিয়ে একটি অনুচ্ছেদ লিখুন। এবং খেয়াল রাখবেন লেখাটিকে একদম আপনার নিয়মিত লেখার ধরণের চেয়ে বেশি ভালো করতে যাবেন না।
আপনি সাধারণত যেভাবে লিখে থাকেন, সেভাবেই লিখুন।
তারপর আস্তে আস্তে নিজে পর্যবেক্ষণ করে দেখে ত্রুটিগুলো চিহ্নিতপূর্বক ধাপগুলি বাস্তবায়ন করতে পারেন।
হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য প্রয়োজনীয় বিষয় চিহ্নিত করা
আপনার লেখা সেই অনুচ্ছেদটি এখন প্রয়োজন হবে। এখন এই লেখা থেকে নিচে উল্লেখ করা বৈশিষ্ট্যগুলো চিহ্নিত করুন।
লেখার গঠন বা আকৃতি
- আপনার লেখার তীর্যক কোণ (অর্থাৎ আপনি যে কোণে অক্ষর লেখেন)
- হাতের লেখার সারিবদ্ধতা বা Alignment (এটি হলো লেখার উর্ধ্বমুখী ও নিম্নমুখী কোণ, অক্ষরগুলোর মধ্যে ওভারল্যাপিং ইত্যাদি)
- অক্ষর এবং লাইনগুলোর মাঝে স্পেস বা ব্যবধান
- লেখার আকার
- লেখা পড়তে কষ্ট হয় কিনা সে বিষয় দেখা
উপরোক্ত বিষয়গুলো আপনার সেই লেখা থেকে চিহ্নিত করুন।
আপনার অসম্পূর্ণতাগুলো চিহ্নিত করা
‘পরম পরিপূর্ণ বা Actual Perfect’ বলতে কিছু নেই। সব কিছুই আপেক্ষিক।
তাই, উপরের ধাপগুলোর মাধ্যমে পর্যবেক্ষণের পর হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য যে ত্রুটিগুলো আপনার লেখায় প্রকাশ পাবে সেই ত্রুটি বা অসম্পূর্ণতাগুলো চিহ্নিত করে আপনাকে পরবর্তী ধাপগুলিতে আগাতে হবে।
যেমন: নিম্নোক্ত অসম্পূর্ণতাগুলো খেয়াল রাখতে পারেন –
- অক্ষরগুলোর স্পেস বা লাইনগুলার ব্যবধান ঠিক আছে কিনা!
- একটি অক্ষর কিংবা একটি লাইন অন্য একটি অক্ষর বা লাইনের সাথে মিশে গিয়েছে কিনা!
- লেখার সারিবদ্ধতার রীতি ভেঙ্গে আঁকাবাঁকা হয়ে গিয়েছে কিনা!
- অক্ষরগুলো বাঁকা হয়েছে কিনা!
- কাগজে খুব বেশি প্রেসার বা এককথায় যাঁতা দিয়ে লেখা হয়েছে কিনা!
আপনার লেখায় উপরোক্ত অসম্পূর্ণতাগুলো থাকলেও থাকতে পারে। তাই সেইগুলো মাথায় রেখে সংশোধনের চেষ্টা করতে হবে।
- আরো পড়ুন: গণিতে দক্ষ হওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায়
- ইংরেজি শেখার সহজ উপায়। ৩০ দিনেই ইংরেজিতে দক্ষ হোন
বাংলা ও ইংরেজি হাতের লেখা দ্রুত ও সুন্দর করার মূল ধাপসমূহ
১। হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য ‘বাতাসে লিখুন’
কৌশলটি একটু অদ্ভুত হলেও সত্য যে, কুৎসিত বা অসুন্দর হাতের লেখার অধিকারী ব্যক্তিরা তাদের হাতের বাহু, কব্জি এবং কাঁধের মাংশপেশিকে সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দিতেই সক্ষম হননি।
So, প্রথমে হাতের কব্জি পর্যন্ত, তারপর বাহু পর্যন্ত এবং সবশেষে কাঁধ পর্যন্ত নাড়িয়ে নাড়িয়ে বাতাসে লেখার চেষ্টা করতে হবে।
এভাবে আঙুল দ্বারা বাতাসে অক্ষর লেখা সহজ এবং এর মাধ্যমে আপনার হাতের মাংসপেশিগুলো কাজটি করতে বাধ্য হবে।
এবং কাজটিতে অভ্যস্ত হয়ে যাবে ফলে আপনার বাংলা ও ইংরেজি হাতের লেখা দ্রুত ও সুন্দর করতে অনেক সহায়ক হবে এটি।
২। আপনার হাতের অবস্থান ঠিক করা এবং কলম ধরার নিয়ম
বাংলা ও ইংরেজি লেখা চমৎকার করার বিষয়টির আগে আপনাকে পেন্সিল বা কলম ধরা শিখতে হবে। 😆
বুড়ো আঙুল এবং তর্জনী আঙুল ব্যবহার করে পেন্সিল বা কলম ধরা সবচেয়ে উত্তম। তবে এভাবে কেউ স্বাচ্ছন্দ বোধ না করলে আপনার ইচ্ছেমতোই ধরতে পারেন।
কলম বা পেন্সিলটি খুব বেশি শক্ত বা খুব বেশি আলতো করে ধরলে হাতের লেখা খুব বেশি ভালো হবে না।
So, মোটামুটি আরামদায়কভাবে কলম বা পেন্সিল ধরার অভ্যাস করুন। আর কলম বা পেন্সিল এর একদম বেশি নিচে বা একদম উপরে ধরলেও হাতের লেখা সুন্দর হবে না।
এজন্য কলম বা পেন্সিলের ১/৩ (এক-তৃতীয়াংশ) নিচে ধরা উত্তম।
আর বাহুর সমান্তরালে কব্জি রাখা ভালো। এতে করে একটু লেখার পরেই হাত ব্যাথা হয়ে যায় না।
৩। হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য সঠিক কলম নির্ধারণ
লেখা সুন্দর করার কৌশলগুলোর মধ্যে এটি বেশ কাজে দিতে পারে।
So, আপনি লিখে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন এমন কলমগুলোকে নিয়মিত লেখার জন্য নির্বাচন করুন।
কলমের ক্ষেত্রে, সেটি হতে পারে কোনো বলপয়েন্ট পেন বা জেল পেন। আবার পেন্সিলের ক্ষেত্রে হতে পারে সেটি 2B, 4B, কিংবা HB পেন্সিল।
So, আলাদাভাবে আমি নির্দিষ্ট কোনো কলমকে সাজেস্ট করবো না। আপনার স্বাচ্ছন্দমতো যেকোনো কলম ব্যবহার করুন।
But, আপনার লেখা দ্রুত ও সুন্দর করার জন্য প্রথমে কোনো জেল পেন ব্যবহার করলে ভালো হয় (‘Matador I-teen Gel pen‘ ব্যবহার করতে পারেন, আমি এটি দিয়ে শুরু করেছিলাম)।
৪। হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল হিসেবে সঠিক কাগজ নির্ধারণ
‘হাতের লেখা ভালো করার উপায়’ এর যাত্রায় এর গুরুত্ব অনেক বেশি। কেননা, শুরুতেই আপনি যদি সাদা খাতায় (সাদা বলতে বুঝিয়েছি রেখাবিহীন খাতাগুলো, যেগুলো আমরা বড় ক্লাসের বাংলা খাতা হিসেবেও চিনি) আরম্ভ করেন তাহলে লেখার অক্ষরগুলো ভালো হলেও লেখার লাইনগুলো সোজা হবে না, যা দেখতে ভালো লাগবে না।
So, শুরুতে দাগটানা খাতাগুলোতে (যা আমরা ছোট ক্লাসের বাংলা খাতা হিসেবে চিনি) লেখার মাধ্যমে লেখা সোজা করে তারপর দাগটানা ছাড়া খাতায় লিখতে পারেন।
আরো পড়ুন: মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম ২০২১। ঘরে বসে আয় করুন সহজে
৫। অন্য কারো সুন্দর হাতের লেখা দ্বারা অনুপ্রাণিত হন যা আপনাকে মুগ্ধ করে
আপনার ক্লাসের কোনো সহপাঠীর লেখা ভালো হয়ে থাকলে তার লেখার ধরন অনুসরণ করতে পারেন। এবং তার অক্ষরগুলো লেখার পদ্ধতিও অনুসরণ করতে পারেন।
লেখা ভালো করার জন্য অন্য কারো সুন্দর হাতের লেখা অনুসরণ করা খুবই কার্যকর একটি কৌশল।
তাই, আপনার সেই অনুপ্রেরণা হতে পারে আপনার কোনো সহপাঠী, হতে পারে আপনার ছোটো বা বড় ভাই বা বোন, আবার হতে পারে আপনার বাবা কিংবা মা।
যাই হোক, তার সেই লেখা অনুসরণ করে বার বার অনুশীলন করলে হুবহু তারমতো লেখা না হলেও আগের থেকে আপনার লেখার উন্নতি হবে।
আর আশেপাশের অন্য কারো হাতের লেখা অনুসরণ করতে না চাইলে কিছু ওয়েবসাইট তো ইন্টারনেটে রয়েছেই আপনার জন্য।
Google Fonts, Typewolf অথবা Creative Market Handwriting fonts এর মতো সাইট থেকে কোনো ফন্ট কে আদর্শ ভেবে আগাতে পারেন।
৬। হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য ‘মৌলিক আকৃতিগুলো অনুশীলন’ করুন
হাতের লেখার একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ ত্রুটি হলো অক্ষর এবং আকারের মধ্যে অনিয়ম এবং অসঙ্গতি। আর একটি মজার ব্যাপার হলো, সমস্ত অক্ষরগুলি সরলরেখা, বৃত্ত কিংবা অর্ধ-বৃত্ত দিয়ে তৈরি।
হ্যাঁ, এজন্য অক্ষর লেখা শুরু করার আগে বেশি বেশি সরলরেখা, বৃত্ত, অর্ধ-বৃত্ত আঁকা অনুশীলন করুন।
এতে করে লেখার অক্ষরগুলোর মৌলিক আকৃতিগুলো ঠিক হবে এবং হাতের লেখা ভালো হতে থাকবে।
এবার আপনি অক্ষরগুলো অনুশীলন করতে পারেন।
৭। একটি দিকনির্দেশক চার্ট অনুসরণ করতে পারেন
যদিও এক এক জনের লেখার ধরন ভিন্ন। তবে অক্ষর বা বর্ণগুলো লেখার নির্দিষ্ট যে কিছু নিয়ম রয়েছে, সেগুলো অনুসরণ করতে পারেন।
যার ফলে – কোন বর্ণে মাত্রা আছে? কোনটিতে নেই? কোনটি গোলাকৃতির, কোনটি লম্বা ইত্যাদি মেনে চলতে পারবেন।
এজন্য কিন্ডারগার্টেন এর বর্ণের বইগুলো ব্যবহার খুব উপকারী হবে বলে আমি মনে করি। 😁
৮। হাতের লেখা সুন্দর করতে বর্ণমালাগুলো অনুশীলন করুন
লেখা দ্রুত এবং ভালো করা বলতে মূলত বর্ণমালাগুলো বা অক্ষরগুলো সুন্দর করে লেখার সামগ্রিক একটি বিন্যাসকেই বোঝানো হয়। তাই হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য অক্ষর বা বর্ণমালার অনুশীলন খুবই প্রয়োজন।
So, আপনার সেই আদর্শ লেখা মোতাবেক, খাতায় বারবার বাংলা এবং ইংরেজি অক্ষরগুলো লিখতে থাকুন।
এবং প্রতিবারই আগের তুলনায় কিছুটা হলেও উন্নতি করার চেষ্টা করতে হবে। কিন্ডারগার্টেনের সেই বই এর লেখা অক্ষরগুলো অনুসরণ করতে পারেন। এভাবে বারবার চর্চার মাধ্যমে আপনার অক্ষরগুলো সুন্দর হয়ে যাবে এবং লেখাগুলো দেখতে সুন্দর দেখাবে।
৯। লেখার মাঝে ব্যক্তিগত স্টাইল বা ধরণ অনুসরণ করা
বাংলা ও ইংরেজি হাতের লেখা সুন্দর করার উপায়গুলো অনুশীলন করে আপনার লেখা ভালো করার জন্য আপনার অন্য কারও লেখার ধরণ বা স্টাইল অনুসরণ করতে না চাইলে, নিজের লেখার স্টাইলে স্থির থাকতে পারেন।
এতে করে আপনার আগের লেখার মধ্যেই উন্নতি আনার চেষ্টা চালানো হবে। আপনার লেখা যতই ভালো হবে, এটি আপনার এবং আপনার ব্যক্তিত্বের একটি চমৎকার প্রতিফলন ঘটাবে।
এজন্যই মানুষ হাতে লেখা সুন্দর নোট পেতে ভালোবাসে। এগুলো শুরু দেখতেই ভালো লাগে না, বরং পড়ার মনোযোগে ভালোই ভূমিকা রাখে।
তাই অক্ষরগুলো স্পষ্ট করে লেখার চেষ্টা করুন।
১০। নিজের লেখা নিজেই যাচাই বা পর্যবেক্ষণ করুন
লেখা দ্রুত ও সুন্দর করতে আপনি উপরোক্ত কৌশলগুলো অনুসরণের পর আপনি কোনো একটি অনুচ্ছেদ লিখবেন। এবং নিজের লেখার বিচারক নিজেই হবেন।
এভাবে নিজের লেখার পর্যবেক্ষণ এর মাধ্যমে বাংলা ও ইংরেজি লেখা দ্রুত ও সুন্দর করার কৌশলগুলো অবলম্বনের আগের ও পরের পার্থক্য বুঝা যাবে।
আর লেখার মাঝে থাকা ত্রুটিগুলো ভালোভাবে চিহ্নিত করে সংশোধন করে নিবেন।
১১। বাংলা ও ইংরেজি হাতের লেখা দ্রুত ও সুন্দর করতে ‘সবসময় কিছু না কিছু লিখুন’
এটি শুধু হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য নয়, বৈজ্ঞানিকভাবেই এটি পরীক্ষিত যে, কোনোকিছু পড়ার সাথে সাথে সেটি লিখে ফেললে তা পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি সময় মনে থাকে।
তাছাড়াও, হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য বেশি বেশি অনুশীলনের বিকল্প নেই। ‘বাংলা ও ইংরেজি লেখা দ্রুত ও অপরূপ’ করতে আপনার লেখাকে দৈনিক পড়ার রুটিনের অংশ করে নিতে হবে।
আর কোনো কিছু পড়ার সাথে সাথে অলসতা না করে সাথে সাথে সেটি লিখে ফেলার অভ্যাস থাকলে খুবই ভালো।
কেননা কথায়ই আছে,
‘অনুশীলন একজন মানুষকে নিখুঁত করে তোলে।‘
তাই, বেশি বেশি চর্চা বা অনুশীলনের মধ্যেই থাকতে হবে।
১২। অধ্যবসায়
আপনি ১-২ মাসেই আপনার লেখা সম্পূর্ণ সুন্দর করে ফেলতে পারবেন না। সেজন্য প্রয়োজন হবে প্রচুর ধৈর্য্য আর অধ্যবসায়।
পিছুপা হলে চলবে না। একবার না হলে বারবার চেষ্টা করতে হবে।
যতো সম্ভব অনুশীলন করতে হবে। হবেই। হতেই হবে। বাংলা ও ইংরেজি হাতের লেখা দ্রুত ও সুন্দর করার জন্য দিনের নির্দিষ্ট কিছু সময় বরাদ্দ করতে হবে, এর পেছনে সময় দিতে হবে। তবেই তো সফলতার মুখ দেখবেন।
শেষকথা:
“বাংলা ও ইংরেজি হাতের লেখা দ্রুত এবং চমৎকার করার কৌশল – সুন্দর হাতের লেখা” – পোস্টটি আজকের মতো এ পর্যন্তই।
“বাংলা ও ইংরেজি হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল, হাতের লেখা সুন্দর করার উপায়” ইত্যাদি সম্পর্কিত কোনো প্রশ্ন থাকলে নির্দিধায় কমেন্ট করে জানাবেন। কথা হবে পরবর্তী পোস্টে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।